সৌদি আরবের বরাত দিয়ে ইতিমধ্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশিরা করোনার কারণে গত ২ বছর হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেননি। নিবন্ধন করলেও কবে নাগাদ হজ করতে পারবেন তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় হজ গমনেচ্ছুরা। এর বাইরে নতুন করে যারা হজ করতে চান তারাও কবে নাগাদ সুযোগ পাবেন সে বিষয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ আগে যারা নিবন্ধন করেছেন তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী বছরগুলোতে হজের সুযোগ দেওয়া হবে।
এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও আগামী বছরের পবিত্র হজ কার্যক্রম ও নতুন করে কতজন বাংলাদেশি হজের সুযোগ পাবেন, কি কি শর্ত থাকবে আগামী দিনের হজ কার্যক্রমে, এ নিয়ে আলোচনা করতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল সৌদি আরব গেছেন।
প্রতিনিধি দলটি সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। সৌদি সফরকালে তারা ১৪৪৩ হিজরি সালের ওমরাহ এবং সম্ভাব্য পবিত্র হজ কার্যক্রম বিষয়ে অবহিত হবেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এছাড়াও, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টারের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা আছে বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর।
১৪ সেপ্টেম্বর প্রতিনিধি দলটি মক্কায় মোয়াসসা জুনুব এশিয়ার চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়ে হজ ও ওমরাহ কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে। একইদিন প্রতিনিধি দল মক্কায় হাজিদের ভাড়া বাড়ি ও হোটেল পরিদর্শন করবে। তারা পবিত্র মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফা পরিদর্শন করবেন। তারা জেদ্দা, মক্কা ও মদিনায় বাংলাদেশ হজ অফিসগুলো পরিদর্শন করবেন।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর মদিনার ন্যাশনাল আদিল্লা অফিসের চেয়ারম্যানের সঙ্গে হজ ও ওমরাহ সংক্রান্ত বিষয়ে মত বিনিময়ের কথা আছে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের। সফর শেষে তারা আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ছাড়া প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব (হজ) গাজী উদ্দিন মো. মনির, হজ অফিস ঢাকার পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব দিদারে আলম মো. মাকসুদ চৌধুরী, ধর্ম সচিবের একান্ত সচিব মো. যোবায়ের।
সানবিডি/ এন/আই