২০২২ শিক্ষাবর্ষের ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে সঠিক সময়ে বিনামূল্যে বই দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এজন্য ১ কোটি ৮৮ লাখ ৭৫ হাজার ৭৩৫ কপি বই কেনার একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বই কেনা বাবদ ব্যয় হবে ৩৩ কোটি ৯৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৫ টাকা।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এটি ২৫তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩১তম সভা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য তিনটি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে অর্থের পরিমাণ ৩৩ কোটি ৯৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৫ টাকা।
তিনি বলেন, ২০২২ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের (১ম ও ২য় শ্রেণি) বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের ৭২টি লটে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের দরপ্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সব শিক্ষার্থীর কাছে পাঠ্যপুস্তক যথাসময়ে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ২০২২ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের (১ম ও ২য় শ্রেণি) বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের ৯৮টি লটের মধ্যে অবশিষ্ট ৭২টি লটে ১ কোটি ৮৮ লাখ ৭৫ হাজার ৭৩৫ কপি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হলে ৩০২টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ২৮৭টি দরপত্র রেসপনসিভ হয়।
টিইসির ৭২টি লটে সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন ২৫টি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক কোটি ৮৮ লাখ ৭৫ হাজার ৭৩৫ কপি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৩ কোটি ৯৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৫ টাকা। প্রতিটি পাঠ্য বইয়ের গড় দাম ১৭ দশমিক ৯৯ টাকা।
মন্ত্রী বলেন, সভায় মোট তিনটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টার’-এ ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে পূর্ত কাজ ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকারি অর্থে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।
এএ