বগুড়ায় পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর নামে একটি বাড়িতে পতিতাবৃত্তি চলছে। ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোটেলের নামে পতিতাবৃত্তি করার অভিযোগ উঠেছে হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে এসব বন্ধে জেলা পুলিশ সুপারসহ জেলা প্রশাসক, পৌর মেয়র ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য প্রতিকার না মেলায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে।
সম্প্রতি প্রশাসনের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে এলাকাবাসী জানায়, বগুড়া পৌর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট কুমিড়া মহল্লার স্থায়ীবাসিন্দা ও খুলনা রেলওয়ে পুলিশের পরিদর্শক সাকিউল আজমের স্ত্রীর মালিকানাধীন পাকা বাড়ি জনৈক মাহফুজুর রহমান ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনাল নাম দিয়ে পতিতাবৃত্তি করছেন। এতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে যুব সমাজকে রক্ষা করতে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন।
ইতোপূর্বে ওই মিনি পতিতালয় নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করেছে। কিন্তু বাড়ির মালিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রী হওয়ায় প্রতিবেশীরা কিছু বলতে পারছেন না। এ ছাড়া ওই হোটেলে মাদক ব্যবসাও চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ওই পতিতালয় উচ্ছেদ করে যুব সমাজের চরিত্র রক্ষার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
অভিযোগপত্রে ছোট কুমিড়া গ্রামের চার শতাধিক মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। ওই অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসক, পৌরসভার মেয়রসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে দাখিল করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাড়ির মালিকের স্বামী খুলনা জেলা রেলওয়ে পুলিশ পরিদর্শক সাকিউল আজিম বলেন, অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে ভাড়ার চুক্তি বাতিল করা হবে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারে স্থানীয় প্রশাসন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া হোটেল মালিক মাহফুজুর রহমান পতিতা ব্যবসার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘কোন হোটেলে এমন ব্যবসা হয় না, বলুন। এ ছাড়া হোটেল চলবে না।’
এএ