বীমা খাতে অর্থ পাচারের ঝুঁকি বাড়ছে
প্রকাশ: ২০১৫-১০-০৪ ১৯:১৯:১২
বীমা খাতের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং বা অর্থ পাচারের ঝুঁকি বাড়ছে। ব্যাংকিং খাত কঠোর নিয়ন্ত্রণে আনায় এখন বীমা খাতে এ ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের তৎপরতার পরও মানি লন্ডারিং রোধ করা যাচ্ছে না। এ জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে আইনগতভাবে বীমা খাত সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রোববার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত দুদিনব্যাপী কর্মশালা উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানানো হয়।
‘মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসের অর্থায়ন: বীমা খাতের সমস্যা নিরুপন’ শীর্ষক কর্মশালা দেশের সব সাধারণ ও জীবন বীমা কোম্পানি, জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং প্রধান হিসাব কর্মকর্তাদের (সিএফও) নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে।
মূলত অর্থ পাচারের কারণে বীমা খাতের ঝুঁকি সনাক্তকরণের লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম. শেফাক আহমেদ, একচ্যুয়ারি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. কুদ্দুস খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক দুলাল চন্দ্র সরকার, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমির অনুষদ সদস্য এস এম ইব্রাহিম হোসাইন, এসিআইআইসহ বিভিন্ন বীমা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বীমা ক্ষেত্রে অর্থপাচার বন্ধের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের বিস্তারিত বর্ণনা দেন। তিনি বীমা খাতে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন বন্ধে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্যাংকিং খাতে কঠোর নিয়ম হওয়ায় এখন বীমা খাতের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের ঝুঁকি বাড়ছে। মানুষ সুযোগ পেলেই অপরাধ করে তাই মানুষকে অপরাধের সুযোগ দেওয়া যাবে না। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বীমা খাতে আরও আধুনিক সফটওয়্যার ব্যবহারের পরামর্শ দেন তারা। যাতে অবৈধ কর্মকাণ্ড সহজেই ধরা যায়।
অনুষ্ঠানে কী-নোট উপস্থাপনকালে দুলাল চন্দ্র সরকার বলেন, সীমিত সময়ের মধ্যে হয়তো আমরা এসব অপরাধ পুরোপুরি নির্মূল করতে পারবো না। তবে একে সীমিত করার চেষ্টা করতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে একদিন দেশ থেকে অপরাধ-দুর্নীতি নির্মূল হবেই।