বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়ে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে পর্যটন খাত। পর্যটনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে সরকার ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। আগামী তিন বছরে ১০ লাখ পর্যটককে টার্গেট করে বাংলাদেশ নিজেকে প্রস্তুত করছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ট্যুরিজমকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করতে শিল্পোদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ‘পর্যটন বর্ষ-২০১৬ : বাংলাদেশের পেনাল্টি শুট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন রাশেদ খান মেনন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনসচিব খোরশেদ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সবুর খান, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মহিউদ্দিন আহমেদ, এটিএন বাংলার উপদেষ্টা নওয়াজেশ আলী খান, পর্যটন বোর্ডের সিইও আখতারুজজামান খান কবীর।
এদিকে পর্যটন বর্ষ উপলক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও ‘ছায়াবানী’র যৌথ আয়োজনে গতকাল তিন দিনের ‘অজন্তা ফ্যাশন বিউটিফুল বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা’ শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়েজিত সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার মূল উপজীব্য বিষয় ছিল আবহমান বাংলার প্রকৃতি, ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্সব। সারা দেশ থেকে অংশ নেওয়া ২৫০টি ছবি থেকে বিচারকদের রায়ে বাছাই করা সেরা ৩০টি ছবি চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হয়।
সেরা প্রথম তিনটি আলোকচিত্রের পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন—শেখ আবদুস সিদ্দিক রতন, মো. কায়সার আহমেদ ও মো. তায়েফ আনজুম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতারুজজামান খান কবীর এবং সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ছবি জীবনের কথা বলে, ছবি ফ্রেমে বন্দি হয়ে সময়কে ধারণ করে আগামী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হতে উত্সাহ জোগায়। তাই ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশের সৌন্দর্যকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে আহ্বান জানান তিনি।