এলডিসি উত্তরণ পরের সময়ে দেশের বেসরকারিখাতকে যেসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে তা মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। বিশেষ করে দক্ষতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কাছে কারিগরি সহায়তা চান তিনি। এতে এলডিসি পরের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি এসডিজি অর্জনও সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে, আয়োজিত “নিউ ওয়ার্ল্ড, নিউ হোপ: জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ” শীর্ষক সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন এফবিসিসিআই। নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সহায়তায়, জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে আয়োজিত এই সম্মেলনের আয়োজন করে সেন্টার ফর নন রেসিডেন্স বাংলাদেশ।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে বাংলাদেশি শরণার্থী ও পরে দেশে ফেরার পর, তাদের পুনর্বাসনে জাতিসংঘের সহায়তা কৃতজ্ঞতার সংগে স্মরণ করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই জাতিসংঘের সংগে সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে ১৯৭৪-এর ২৪ সেপ্টেম্বর, সংস্থাটির ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলায় দেওয়া ভাষণের মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়। শান্তি মিশনসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সঠিক দিক নির্দেশনা ও নীতিকৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুতই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে আছে। দারিদ্র বিমোচন, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমানো, গড়আয়ু বৃদ্ধি, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, টেকসই প্রবৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক সব সূচকে অগ্রগতি অব্যাহত রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এই সময় তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর, বিশ্ব বাজারে দেশের বেরসরকারি খাত বাড়তি কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এসব চ্যালেঞ্জ জিততে ব্যক্তিখাতের দক্ষতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কাছে কারিগরী সহায়তা চান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ড. এ.কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতমিস্টার আর্ল আর মিলার, ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর ইন বাংলাদেশ মিয়া সেপ্পো, কান্ট্রি ইকোনমিস্ট, ইউএনডিপি বাংলাদেশ ড.নাজনীন আহমেদ।
এএ