নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ধারবাহিক মতবিনিময় সভার দ্বিতীয় দফা শেষ করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের করণীয় ঠিক করতে দলীয় নেতাদের মতামত নিতে এ সিরিজ বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংগঠনের অবস্থা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কী করা যেতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বাংলাদেশের মুক্তি এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা আলোচনা করেছেন তাদের সব বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে আমাদের দলের নীতিনির্ধারণী সভায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। তখন আপনারা জানতে পারবেন আমরা কী ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করবো।
মঙ্গলবার থেকে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক শুরু হয়। বৃহস্পতিবার শেষ হয়। এর আগের মঙ্গলবার থেকেও দিন দিনের বৈঠক হয়।
প্রথম দফায় তিন দিনের দলের ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সম্পাদকমণ্ডলী এবং ৯টি অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে বৈঠক হয়। এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনদিন নির্বাহী কমিটির সদস্যদের ধারাবাহিক বৈঠক হয়। বৃহস্পতিবার শেষ দিনে খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে নির্বাহী কমিটির ৮৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। দুই দফার ধারাবাহিক বৈঠকে ৪৯১ জন সদস্য অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৩০০ জন বক্তব্য রাখেন।
২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে নেওয়ার পরে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাথে এটাই তারেকের প্রথম বৈঠক।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ছয়দিনের রুদ্ধদ্বার বৈঠকসমূহে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ারি তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এএ