বিশ্বব্যাপী আঘাত হানা করোনার প্রভাবে অস্থিতিশীলতা চলছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পেও। মহামারি করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রায় ৩৭৫ কোটি ডলারের রফতানি আদেশ বাতিল হয়েছে। যার মধ্যে চট্টগ্রামের পোশাক কারখানার রফতানি আদেশ বাতিল হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি ডলার সমপরিমাণ বা ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে পোশাক শিল্পের অর্ডার অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি আছে। শনিবার চট্টগ্রামে খুলশীতে বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত ‘চট্টগ্রামে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণসহ অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পোশাক শিল্পসংশ্লিষ্ট বিরাজমান সমস্যা ও সমাধানের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এই সভায় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামে ৬৯৭টি পোশাক কারখানার মধ্যে বন্ধ হয়েছে ৩৮৯টি প্রতিষ্ঠান। বাকি ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১৯০টি প্রতিষ্ঠান আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছে। করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৩০টি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। গত ১৯৮৫ সালে পোশাক শিল্পের রফতানিতে চট্টগ্রামের ১২৬টি পোশাক কারখানার অবদান ছিল ৩৯ শতাংশ। কিন্তু ২০২০ সালে চট্টগ্রামে গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকটসহ অবকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার কারণে ২৯৩টি পোশাক কারখানা থেকে জাতীয় রফতানির অবদান নেমে এসেছে মাত্র ১৫ শতাংশে।
সানবিডি/এনজে