পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি জনতা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রধান মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. বশির আহমেদের নিয়োগ অনুমোদন প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকায় এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। একই সাথে জনতা ইন্স্যুরেন্সের চাকরি থেকে তাকে অপসারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আইডিআরএ পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি জনতা ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি চিঠির অনুলিপি বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) এবং সব সাধারণ বিমা কোম্পানিতে পাঠানো হয়েছে।
আইডিআরএ জানিয়েছে, মো. বশির আহমেদকে বিমা আইন ২০১০ ও বিমা কোম্পানি অনুযায়ী অপসারণ করা হয়েছে। এর আগে মুখ্য নির্বাহী নিয়োগের জন্য মিথ্যা তথ্য দেওয়াসহ বেশকিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে আইডিআরএ। কমিটির তদন্তে বশির আহমেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং সিইও পদে নিয়োগের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকার তথ্য বেরিয়ে আসে।
তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (আইন) এস এম শাকিল আখতার। এছাড়া কমিটির সদস্য ছিলেন কর্তৃপক্ষের পরিচালক (নন-লাইফ) মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং অফিসার (নন-লাইফ) সৈয়দ শরীফুল হক।
জনতা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ অনুমোদন পেতে বশির আহমেদের জীবনবৃত্তান্ত এবং অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্রে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে গত ৫ আগস্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করে আইডিআরএ।
এর আগে শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষ থেকে আইডিআরএ’র কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। তাতে বশির আহমেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং তার সিইও পদে নিয়োগ পাওয়া প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নেই-এমন অভিযোগ করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ আগস্ট জনতা ইন্স্যুরেন্সে সরেজমিনে তদন্ত করে আইডিআরএ’র তদন্ত দল। সরেজমিনে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে কমিটি।