কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১০ লাখ টাকা জরিমানার যে আদেশ দিয়েছিল ফারমার্স ব্যাংক তা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরিমানার সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিতের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়।
ঋণের তথ্য গোপন করায় ওই অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছিল ব্যাংকটিকে। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, ফারমার্স ব্যাংককে ১৪ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ওই রিভিউ আবেদন করতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মালিকানাধীন ওই ব্যাংকটিকে জরিমানা দিতে হবে কি না, তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করবে।
এর ফলে হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ ও রুলেরও নিষ্পত্তি হয়ে গেছে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
২০১৩ সালে জুন মাসে লাইসেন্স পাওয়া ফারমার্স ব্যাংক ৩৮টি শাখা নিয়ে কাজ চালাচ্ছে। পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন সরকারি হিসাব-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মহীউদ্দীন খান আলমগীর। পৌনে তিন বছরের কার্যক্রমেই ব্যাংকটিতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের তথ্য পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি সেখানে একজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়।
ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ঋণের তথ্য গোপন করায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি বছর ৩ জানুয়ারি ফারমার্স ব্যাংককে ১০ লাখ টাকা জরিমানার কথা জানায়। দশ দিনের মধ্যে ওই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পরিশোধ করতে বলা হয়।
ফারমার্স ব্যাংক এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গেলে গত ১১ জানুয়ারি বিচারপতি তারিকুল হাকিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাই কোর্ট বেঞ্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরিমানার আদেশ চার মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়। জরিমানার আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করে আদালত।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে যায়। গত ২৫ জানুয়ারি চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য নিয়মিত আপিল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার তা শুনানির জন্য আদালতে ওঠে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও ছিলেন।
ফারমার্স ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন বাসেত মজুমদার ও মওদুদ আহমদ; সঙ্গে ছিলেন কামালুল আলম ও এ কে এম রাশেদুল হক।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস