গত ৮ মাসে দেশে ৮১৩ জন কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার, ৯ জন অপহরণ, ১৪০ জন পাচারের শিকার ও ১১২ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কন্যাশিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ২০২১ প্রকাশ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সামাদ হলে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক ছিল জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দেশের মধ্যে কন্যাশিশু অপহরণ ও আত্মহত্যার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে রাজশাহী বিভাগে। কন্যা শিশুদের হত্যা, এসিড নিক্ষেপ, উত্ত্যক্ত ও অবহেলা বেশি ঘটে চট্টগ্রাম বিভাগ আর ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিভাগের কন্যাশিশুরা বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি বলেন, গত আট মাসের ২৪টি জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন গণমাধ্যম থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ থেকেই বোঝা যায় কন্যা শিশুদের ওপর কী পরিমাণ নির্যাতন করা হচ্ছে। এসবের সমাধানে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার সঞ্চালকের বক্তব্যে বলেন, আমাদের সব ক্ষেত্রেই দলীয়করণ হয়ে গেছে। এটার একটা মাশুল আমরা দিচ্ছি। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি জানান, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে অনেকগুলো বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের চাইল্ড স্পন্সরশিপ ম্যানেজার মনিকা বিশ্বাস, এডুকো বাংলাদেশের ডিরেক্টর অব প্রোগ্রাম ফারজানা খান।
লিখিত বক্তব্যে কন্যাশিশু নির্যাতন প্রতিরোধ বা বন্ধে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। শিশু সুরক্ষায় শিশুদের একটি পৃথক অধিদফতর গঠন, কন্যাশিশু নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধসহ একাধিক সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
এএ