চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তুলাতুলি এলাকায় শঙ্খ নদী থেকে তোলা বালু রাখা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কলেজ ছাত্রসহ ১৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে ১৫ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন আবদুল মালেক(৫০), মো.কায়সার(২৮), মো. রুবেল (২১), আবু তাহের (৩৬), ফয়েজ আহমদ (৬০), নুরুল হাসান (৫০), হাফেজ আহমদ (৫৫), মো. মানিক (২৫), ইয়াকুব হোসেন (৫৫), শাহেদুল ইসলাম (২০), মো. রিপন (১৮), জিয়াউর রহমান (২১), রুহুল আমিন (৫৫), মো. ইব্রাহীম ও মো. ফারুখ। বাকি ৩ জনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চরতী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তুলাতুলি এলাকায় শঙ্খ নদী থেকে দীর্ঘদিন দরে ড্রেজিং করে বালু তুলে আসছে একটি চক্র। এর ফলে এলাকার কৃষকের শত শত একর আবাদি জমি অনাবাদী হয়ে পড়ছে। এ কারণে কৃষকরা ধানি জমিতে বালু রাখার বিরোধিতা করেন। এ সময় অস্ত্রধারীরা গুলি ছুড়তে শুরু করলে ১৮ জন গুলিবিদ্ধ হন।
সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও চরতী ইউনিয়নের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দীন খান মিন্টু বলেন, ‘কে বা কারা কৃষদের গুলি করলো, তার ভিডিও ফুটেজ এলাকার লোকদের কাছে আছে। অচিরেই এসব অবৈধ অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
উপজেলার চরতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডা,রেজাউল করিম বলেন, ‘এলাকার লোকজন ও গুলিবিদ্ধদের কাছে শুনেছি, স্থানীয় রুহুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০ রাউন্ডের বেশি গুলি ছোড়া হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল্লাহ চৌধুরীর মোবাইলফোনে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। প্রতিবারেই তিনি কল কেটে দিয়েছেন।
ওসি বলেন, ‘নদী ড্রেজিংয়ে বালু ফসলি জমির ওপর রাখার প্রক্রিয়া করলে এলাকার কৃষক বাধা দেন। বিষয়টি নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে ১ জন ছররা গুলিতে গুলিবিদ্ধসহ ৮/১০ আহত হয়েছেন। এখন এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক আছে। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এএ