তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের আকাশ উম্মুক্ত, এখানে যেকোন বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার হতে পারে, কিন্তু অবশ্যই সেটি বাংলাদেশের আইন মেনে করতে হবে। বাংলাদেশের আইনানুযায়ী বিদেশি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে কোনো বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারে না। একই আইন ইউরোপ আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাসহ উপমহাদেশের অন্য দেশগুলোতে আছে। সেই আইন মেনেই সেখানে ভিনদেশি চ্যানেলগুলোকে সম্প্রচার করতে হয়।’
শনিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রবাসী কমিউনিটি-সংযুক্ত আরব আমিরাত আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী।
কেউ উদ্দেশ্যমূলক জনগণকে বিক্ষুব্ধ করতে বিজ্ঞাপনমুক্ত আসা চ্যানেল বন্ধ রাখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে সমস্ত চ্যানেল বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে দেশে আসে, সেগুলো সম্প্রচারেরে ক্ষেত্রে কোন বাঁধা নেই। আইন মানা বিদেশি চ্যানেলের যেমন দায়িত্ব, একইসাথে যারা বিদেশি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করে সেই অপারেটরদেরও দায়িত্ব। কেউ যদি উদ্দেশ্যমূলক জনগণকে বিক্ষুব্ধ করার জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত আসা চ্যানেল বন্ধ রাখে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার কোন চ্যানেল বন্ধ করেনি। বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে যেহেতু তারা ফিড দিচ্ছে না তাই এই চ্যানেলগুলোর যারা বাংলাদেশে অপারেটর তারাই সম্প্রচার বন্ধ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞাপনসহ চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে প্রায় দু’হাজার কোটি টাকার মতো ইনভেস্টমেন্ট প্রতিবছর হয় না। সেটি থেকে দেশ বঞ্চিত হয়, মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি বঞ্চিত হয়, আমাদের সাংবাদিকরাও বঞ্চিত হয়। সেই কারণে আমরা যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি সেটিকে টিলিভিশন মালিকদের সংগঠন, সম্প্রচার জার্নালিস্ট ফোরামসহ সকলে অভিনন্দন জানিয়েছে। আমরা আশা করবো, বিদেশি চ্যানেলগুলো খুব সহসা বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে বাংলাদেশে ফিড পাঠাবে। তাহলে এখানে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোন বাঁধা থাকবে না। বিবিসি, সিএনএনসহ বহু চ্যানেল আছে যেগুলো বিজ্ঞাপনবিহীনভাবে বাংলাদেশে প্রদর্শিত হচ্ছে।’
এ সময় ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য নীতিমালা করা হচ্ছে এবং সেই নীতিমালা খুব সহসা চুড়ান্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য উল্লেখ্য করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, '‘তিনি (মির্জা ফখরুল) কয়েকদিন ধরে বক্তৃতা করছেন, সব দলের ঐক্য করে তারা সরকারের পতন ঘটাবেন। এই বুলি যখন দিচ্ছে, তখন খেলাফত মজলিস ঘোষণা করল 'আমরা আর বিএনপির সাথে নাই'। যে ঐক্য আছে সেটাই ধরে রাখতে পারে না, অথচ তারা প্রতিনিয়ত সরকার পতনের হুমকি দেয়।'’
বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহসভাপতি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার ও চট্টগ্রাম প্রবাসী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এম এ ছালাম। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আবদুল মোতালেব, জামসেদুল আলম, শফিউল আলম, সেলিম আনছারি, জমির হোসেন জমির প্রমুখ।
এএ