পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ একটি যৌক্তিক দাবি। এমপিওভুক্তিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা যে অর্থ পান, তা দিয়ে তাদের পরিবার চালাতে কষ্ট হয়। সেটি নজরে এসেছে, এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এতে কত টাকার প্রয়োজন, তা হিসাব-নিকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। তিনি শিক্ষকদের বিষয়ে অনেক আন্তরিক।’
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ‘বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান ও সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম (এন আই) খান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের সময় এসেছে। এ বিষয়ে আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যত্রতত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না করে, সেগুলোকে সরকারের আওতায় আনা প্রয়োজন।’
মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় সব স্থানে যত্রতত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সময়ের প্রয়োজনে এটা করা হয়েছে। বর্তমানে সময় এসেছে সেগুলো গুছিয়ে নেওয়ার।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করা সরকারকে সরিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি দেশের ক্ষমতায় বসতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সবার চেষ্টায় তাদের হটাতে হবে।
সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম (এন আই) খান বলেন, ‘দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নানা ভাগে বিভক্ত হয়েছে। সেটি একীভূত করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক দলনেতার ভূমিকা পালন করলেও তাদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই। অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হচ্ছে। শিক্ষকদের উন্নয়নে প্রশিক্ষণের প্রতি জোর দিতে হবে।’
এএ