দেশে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি বলেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়ন করছে বলে জ্বালানির চাহিদাও বাড়ছে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ২টি এফএসআরইউ–এর মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এশিয়া-প্যাসিফিক এনার্জি রিসার্চ সেন্টার-এর যৌথভাবে আয়োজিত ‘১০ম এলএনজি উৎপাদক-ভোক্তা সম্মেলন’-এ ভিডিওবার্তায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালেয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এই সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ফাতিহবিরল। স্বাগত বক্তব্য দেন কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ শেরিদা আল-কাবি।
অনুষ্ঠানে মিসরের পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী তারেক এল মোল্লা, ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী আরফিন তাসরিফ, কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের জ্বালানি-শিল্প, বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী কাং কিউং সুং, রাশিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী পাভেল সোরোকিন, থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও জ্বালানিমন্ত্রী সুপ্তানাপংপুনমিচাও ও গ্যাস রফতানিকারক দেশগুলোর ফোরামের মহাসচিব ড. ইউরি পি সেন্টুরিন বক্তব্য রাখেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাস সেক্টর মাস্টারপ্ল্যান-২০১৭ অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০৩০ সালে গ্যাসের চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৬২২ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০৪১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতেই ৩১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস লাগবে। স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দীর্ঘমেয়াদি ও স্পট কোটেশনের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করছে সরকার। পাশাপাশি গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে।
সানবিডি/এনজে