তাইওয়ানের বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশে চীনের রেকর্ড সংখ্যক সামরিক বিমান অনুপ্রবেশ করেছে। এতে তীব্র উত্তেজনা শুরু হওয়ার পর তাদের মধ্যে এই আলোচনার কথা সামনে এলো। ৪০ বছরের মধ্যে চীনের সঙ্গে খুব খারাপ সম্পর্ক যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তাইওয়ানের কর্মকর্তারা।
তাইওয়ানের ওপর চীনের উসকানিমূলক আচরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বাইডেন বলেন, ইস্যুটি নিয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বুধবার (৬ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন জানান, চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাইওয়ান চুক্তির সঙ্গে আমরা একমত। আমার বিশ্বাস তিনি (শি জিনপিং) চুক্তির বাইরে কিছুই করবেন না।
সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশসীমায় রেকর্ড সংখ্যক চীনা যুদ্ধবিমান মহড়ায় অংশ নেয়। এই ঘটনার পর তাইওয়ান চীনকে তাদের এ ধরনের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন উসকানিমূলক কাজ’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবারের ওই মহড়ার ফলে চলতি মাসে টানা চতুর্থ দিনের মতো চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে। এই সময়ে প্রায় ১৫০টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। আর এতে দু’দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
তাইওয়ানের আকাশে চীনের যে যুদ্ধবিমানের বহর দেখা যায় সেখানে ৩৪টি জে-১৬ এবং পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম ১২টি এইচ-৬ ছিল। একই দিনে পরে আরও চারটিসহ মোট ৫৬টি যুদ্ধবিমান উড়ে যেতে দেখা গেছে।
এই ঘটনার পর তাইওয়ানের চীন-নীতি নির্ধারণী প্রধান কমিটি মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল (এমএসি) বলছে, আমরা বেইজিং কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে এ ধরনের অশান্তিপূর্ণ এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন উস্কানিমূলক কাজ বন্ধের জন্য দাবি জানাই।
এর জবাবে চীন বলছে, তাইওয়ানের স্বাধীনতা এখন শুধুই অতীত। তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করার যে কোনো প্রচেষ্টা রুখে দিতে চীন প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে। যুক্তরাষ্ট্রের অবশ্যই তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন বন্ধ করতে হবে।
সানবিডি/ এন/আই