মিয়ানমার থেকে বাস্ত্তচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে যে সব রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাদের মানবিক সহায়তায় যুক্ত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘ। এ লক্ষ্যে ৯ অক্টোবর (শনিবার) চূড়ান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে।

আজ বুধবার  (৬ অক্টোবর)  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে সচিব মহসীন বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে আমি এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) হেড এমওইউতে স্বাক্ষর করবেন। শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এ চুক্তি করা হবে।’

চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষের দিকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় জাতিসংঘের সঙ্গে একটি খসড়া চুক্তি করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল, আগস্টের শুরুতে চুক্তি চূড়ান্ত হলে সেপ্টেম্বর থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করবে জাতিসংঘ। তবে কিছুটা বিলম্ব হলেও অবশেষে ভাসানচরে যুক্ত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘ।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে জাতিসংঘের আপত্তি ছিল। তবে গত ১৭ মার্চ তিন দিনের সফরে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের দেখতে যান জাতিসংঘের ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ভাসানচর ঘুরে আসা জাতিসংঘের কর্মকর্তারা প্রায় মাসখানেক পর ভাসানচর নিয়ে ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানান। অর্থাৎ ভাসানচরে মানবিক সহায়তায় যুক্ত হওয়ার বিষয়ে সায় দেয় সংস্থাটি।

তবে গতবছরের ডিসেম্বর থেকে জাতিসংঘের অনিচ্ছা সত্ত্বেও এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার। এ পর্যন্ত ছয় দফায় ১৮ হাজার ৫২১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে।

সানবিডি/এনজে