তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন দেশের পোশাক শিল্পের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিল্পটির বিকাশের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পাশাপাশি পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিজিএমইএ’র সহযোগিতায় ট্রেড কাউন্সিল অব ডেনমার্ক-বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সবুজ রূপান্তরের ভবিষ্যতে মনোনিবেশ করুন: শিল্প প্রক্রিয়াগুলোর জন্য সবুজ প্রযুক্তি এবং টেকসই ভবন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (৬ অক্টোবর) বিজিএমইএ’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি স্ট্রাপ পিটারসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
ওয়েবিনারটির উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে গ্রিন বিল্ডিং এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রসেসের জন্য ডেনমার্কের প্রযুক্তিগত সমাধানের (টেকনিক্যাল সল্যুশন) বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি। টেকসই ভবন, গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন এবং গ্রিন অর্থায়নের বিষয়গুলো ওয়েবিনারে আলোচনা করা হয়।
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এর সার্টিফায়েড ১৪৮টি লিড গ্রিন কারখানা রয়েছে, এর মধ্যে ৪৪টি প্লাটিনাম রেটেড এবং ৯১টি গোল্ড রেটেড। তাছাড়া বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি গ্রিন কারখানার মধ্যে ৪০টি কারখানারই অবস্থান বাংলাদেশে এবং ৫০০ কারখানার সনদ পাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিজিএমইএ’র সভাপতি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে আমাদের শিল্পকে প্রতিযোগিতামূলক রাখার জন্য উন্নত টেকসই প্রযুক্তি এবং উদ্যোগের কোনও বিকল্প নেই। উন্নত এলইডি ল্যাম্প, ডাইরেক্ট ড্রাইভ এক্সস্ট ফ্যান, বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সৌর বিদ্যুৎ, লো লিকোর ডাইং মেশিন, সার্কুলার টেকনোলজি, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট এবং রিসাইক্লিং, কমপ্রেসড এয়ার সিস্টেম, অটোমেশন ইত্যাদির মাধ্যমে শিল্পে জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে।’
এএ