১৫৬ দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) বিকেল থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে শুধু নিবন্ধন করা স্পিডবোট চলাচল করতে পারবে। তবে নিবন্ধন ছাড়া চালকদের তেমন কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
চলতি বছরের ৩ মে ঘাটে নোঙর করে রাখা একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ২৬ স্পিডবোট যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, দুই মাস ধরে স্পিডবোট চালুর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেছে মালিক সমিতি। এরই মধ্যে অনিবন্ধিত স্পিডবোটের নিবন্ধন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ এবং চালকদের পরীক্ষাও নিয়েছে। উত্তীর্ণ চালকরাই কেবল এ রুটে স্পিডবোট চালানোর অনুমতি পেয়েছেন। তবে স্পিডবোট চালকের নিবন্ধন ও পরীক্ষা নিলেও কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
বাংলাবাজার স্পিডবোট মালিক সমিতির সুপারভাইজার আনিসুর রহমান রিপন জানান, এই ঘাটে ৪৮টি স্পিডবোট নিবন্ধন পেয়েছে।এর মধ্যে চলাচলের জন্য ২৯টি অনুমোদন পেয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এ রুটে স্পিডবোট চলাচল শুরু করছে। এ ছাড়া বাংলাবাজার ঘাটের ৫৬ জন চালক স্পিডবোট চালানোর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সনদ পেয়েছেন।
শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. দেলোয়ার হাওলাদার জানান, অনুমোদনপ্রাপ্ত স্পিডবোটগুলো বৃহস্পতিবার বিকেলে চলাচল শুরু করেছে। বাংলাবাজার ঘাটের ২৯টি বোটকে চলাচলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নিয়ম মেনেই এগুলো চলবে।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, পুরো স্পিডবোট ঘাট আমরা সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছি। আমরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্পিডবোট চালানোর অনুমতি দিয়েছি। প্রতিটি স্পিডবোট সর্বোচ্চ ১২ জন যাত্রী বহন করতে পারবে। প্রত্যেক যাত্রীর জন্য লাইফ জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীর জন্য ১৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব স্পিডবোটের চালক এ নিয়ম অমান্য করবেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে।
বাংলাবাজার ঘাটের নৌ-পুলিশের পরিদর্শক আবদুল রাজ্জাক বলেন, ২৬ জনের মৃত্যুর পর বিআইডব্লিউটিএ ঘাট কর্তৃপক্ষ স্পিডবোটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নড়েচড়ে বসে। দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে তারা স্পিডবোটের নিবন্ধনই শুধু দিয়েছে। চালকদের সেভাবে প্রশিক্ষণের আওতায় আনেনি। বেপরোয়া স্পিডবোটের চালকদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
এএ