এখন সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যদের শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে জিততেই হবে যদি তারা এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্তপর্বে খেলতে চায়। ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই এগিয়ে ছিল ভুটান। ৬ মিনিটেই গোল পেয়েছে দলটি। কর্নার কিক থেকে পাওয়া বলে বক্সের মধ্যে সোনাম তোবগে দুইবার প্রচেষ্টা চালিয়ে গোলটি করেছেন।
সমতা ফেরাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের তরুণরা। তাতে লাভ হয়নি। প্রথমার্ধে ১৯ মিনিট, ২৯ মিনিট, ৩৯ মিনিট, ৪২ মিনিটে গোল পরিশোধের সুযোগ তৈরি করেছিলো বাংলাদেশী যুবারা। তবে তা কাজে লাগেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ভাল খেলেছে বাংলাদেশ। বেশ কিছু গুছানো আক্রমণও করেছে তারা। ৫৯ মিনিটে ইব্রাহিমের ক্রস থেকে পাওয়া বলে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন রোহিত সরকার। কিন্তু গোললাইন থেকে ভুটানের গোলরক্ষক তা ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হন।
শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক মাশুক মিয়া জনির গোলে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে বামপ্রান্ত থেকে ইব্রাহিমের নেওয়া ফ্রি কিকে পোস্টের একেবারে সামনে মাথা ছুঁয়ে ভুটানের জাল ভেদ করেছেন তিনি।
সমতা ফেরানোর পর আক্রমণের ক্ষুরধার আরও বেড়ে যায় বাংলাদেশের। তবে সেসব সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা। তাই বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত ৩ পয়েন্ট আসেনি ভুটানের বিপক্ষে। বরং এখন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ‘মিরাকল’ কিছু করার অপেক্ষায় থাকতে হবে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যদের।