বর্তমানে বাংলাদেশের মোট রফতানির সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক থেকে। আর একক দেশ হিসেবে এ পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চলমান ২০২১ সালের প্রথম আট মাস জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে বাংলাদেশ থেকে ৪৩২ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থমূল্যের পোশাক আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমদানি প্রবৃদ্ধির হার ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ।
এ বিষয়ে গত ৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের অধীনস্থ অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলসের (ওটিইএক্সএ) পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৪৩২ কোটি ১০ লাখ ৯৪ হাজার ডলারের পোশাক আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি গত বছরের একই সময়ে আমদানি করে ৩৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পোশাক। এ হিসাবেই আমদানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ৫৯২ কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ডলারের পোশাক আমদানি করেছিল। ২০২০ সালে কভিডের প্রভাবে আমদানি কমে যায়। গত বছর মার্কিন বাজারে পোশাকের আমদানি হয় ৫২২ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ডলারের। এ হিসাবে ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাকের আমদানি কমেছিল ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পোশাকের অধিকাংশই কটনভিত্তিক। চলতি বছর আট মাসে মার্কিন বাজারে সবচেয়ে বেশি আমদানি হওয়া পণ্য হলো মেনস বা বয়েজ কটন ট্রাউজার। ১৮ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে এ পণ্যের আমদানি হয়েছে ৯৮ কোটি ডলারের। এছাড়া উইমেন বা গার্লস কটন স্ল্যাকস, মেনস বা বয়েজ নিট শার্ট, ওইমেনস বা গার্লস নিট ব্লাউজ—এ পোশাক পণ্যগুলোর আমদানি বেড়েছে যথাক্রমে ২৮, ৭৪ ও ৫৯ শতাংশ।
সানবিডি/এনজে