নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে না পারায় সংশোধন করা হয়েছে ‘কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি। গত ৫ অক্টোবর একনেক সভায় প্রকল্পটি সংশোধনের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে না পারায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যয় বেড়েছে ৯৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ১১৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৬৪ জেলার সব উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। প্রকল্পের আওতায় আবহাওয়া, জলবায়ু ও নদ-নদীর সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কিত উন্নতমানের পরিষেবা ও নির্ভরযোগ্য তথ্য কৃষকের কাছে পৌঁছানোই উদ্দেশ্য।
এছাড়া তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের উন্নত পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প সংশোধনের কারণে বলা হয়েছে, কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক প্রায়োগিক গবেষণা করা, ১২টি কমিউনিটি রেডিও স্থাপন ও দক্ষ জনবল তৈরির নিমিত্তে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক নতুন বিভাগ চালুর লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক থেকে অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রাপ্তি এবং সে অনুযায়ী নতুন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্তি করা, দেশের সকল উপজেলায় প্রকল্পের কার্যক্রম চালুর উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত ৫টি উপজেলা প্রকল্প এলাকায় অন্তর্ভুক্তি করা, ভ্যাট, ট্যাক্স, প্রাইস কন্টিনজেন্সি এবং অন্যান্য খাতে সাশ্রয়কৃত টাকা সমন্বয় ও কতিপয় অর্থনৈতিক কোড সংশোধন করা এবং প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ২ বছর বৃদ্ধি করার কারণে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি পোর্টাল স্থাপন, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন, এবং নির্ভরযোগ্য কৃষি আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত প্রস্তুতকরণ হলো প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম। এছাড়া প্রকল্পটি ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শস্য উৎপাদন বাড়ানো, কৃষি পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও জলবায়ু-সহিষ্ণু উৎপাদনের লক্ষ্যে শস্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, যার সঙ্গে প্রকল্পটি সংগতিপূর্ণ।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশিদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আবহাওয়া, জলবায়ু ও নদ-নদীর সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কিত উন্নতমানের পরিষেবা এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য কৃষকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। এছাড়া এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের উন্নত পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
এসব বিষয় বিবেচনায় প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য একনেকে তোলা হয়। সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন।
সানবিডি/ এন/আই