বকেয়া গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) আদায়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে বাফুফে ভবনে এ অভিযান শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
রাজস্ব আদায়ে পরিচালিত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান।
অভিযান চালিয়েও বকেয়া আদায় করতে পারেনি ডিএসসিসি। বাফুফে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় নিয়েছে। এ জন্য তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে লিখিত অঙ্গীকার করেছে।
বাফুফে আবেদনে বলেছে, ডিএসসিসির প্রাপ্য বকেয়া গৃহকরের মধ্যে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হবে। অভিযানের শুরু থেকে দেনদরবার করতে থাকা বাফুফে কর্তারা দক্ষিণ সিটির ভ্রাম্যমাণ আদালতের অনড় মনোভাবে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লিখিত এই প্রতিশ্রুতি দেন।
সেখানে উপস্থিত বাফুফে কর্তারা জানান, বাফুফের ব্যয়িত সব অর্থের দস্তখতকারী (সিগনেটরি) তিনজন। এর মধ্যে একজন দস্তখতকারী ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় এই মুহূর্তে বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আগামী বৃহস্পতিবার ১০ লাখ টাকা দেবো। বাকি টাকা মেয়রের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কিস্তি হিসেবে পরিশোধের সুযোগ চাইবো।
২০০৫-০৬ অর্থবছরের তৃতীয় কিস্তি থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের চতুর্থ কিস্তি পর্যন্ত বাফুফের কাছে গৃহকর বাবদ দক্ষিণ সিটির ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বেশি পাওনা রয়েছে।
অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, করপোরেশনের বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে পরিচালিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ আমরা বাফুফে ভবনে অভিযান পরিচালনা করেছি। বাফুফের কাছে বিগত ১৬ বছরের গৃহকর বাবদ ১ কোটি ৫৩ লাখ ৯০৪ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে।
অভিযানকালে বাফুফে তাৎক্ষণিকভাবে সমুদয় বকেয়া পরিশোধ না করলেও আংশিক অর্থ এই সপ্তাহে পরিশোধ করা হবে মর্মে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাকি অর্থ মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পরিশোধ করা হবে বলে অবগত করেছেন।
সানবিডি/ এন/আই