রাজশাহীতে ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরের দিকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার সাহা এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- রাজশাহী নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকার আজিজুর রহমান ওরফে রাজন, সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাজু, মো. রিংকু ওরফে বয়া, দুর্গাপুর উপজেলার ব্রম্ভপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন ও বাগমারা উপজেলার মাদারীগঞ্জ গ্রামের মাহাবুর রশীদ ওরফে রেন্টু।
এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৪ জন। মামলায় খালাস পেয়েছেন ৯ জন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু।
তিনি বলেন, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন, সুরতাল প্রতিবেদন ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণে পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
এন্তাজুল হক বাবু জানান, রাজশাহীর বাগমারার মাদারীগঞ্জের আজিজ মাস্টারের ছেলে মুক্তার সঙ্গে এশার উদ্দিনের ছেলে রাজুর গভীর সখ্যতা ছিল। এই সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে মাদারীগঞ্জের মাহাবুর রশিদ রেন্টু রাজুকে তার সঙ্গে মিশতে নিষেধ করে দেয়।
নিষেধ না শোনায় মাদারীগঞ্জ বাজারে রাজুদের স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে গিয়ে রেন্টুর লোক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা রাজুকে মারধর করে দোকানে ভাঙচুর চালায়।
এ ঘটনায় রাজু আদালতে মামলা করলে সেই মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। এক পর্যায়ে রাজু আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে রাজশাহী নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় বসবাস করতে শুরু করে। সেই এলাকায় খুঁজে বের করে রেন্টু নগরীর দড়িখরবোনা এলাকার ভাড়াটে লোক দিয়ে ২০১০ সালের ১৫ মার্চ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এ মামলায় ৫৮ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ৩১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে রায় ঘোষণা করেন।
সানবিডি/ এন/আই