সুনামগঞ্জ-৩ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা চৌধুরীসহ সিলেটের ৩৬ জন ব্যক্তি প্রতারিত হয়ে হজে যেতে পারেননি। তাদেরকে হজে পাঠাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে গিয়ে ফাঁস হয় প্রতারণার কাহিনী। তাদের পাসপোর্টে ভিসাই লাগেনি!
সিলেট মহানগরীর ভার্থখলাস্থ নিউ ডিসকভারি ট্রাভেলসের মালিক গিয়াস উদ্দিন ৪০ যাত্রীকে হজে পাঠানোর দায়িত্বে ছিলেন। এজন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা করে নেওয়া হয়। পরে এক যাত্রী মৃত্যুবরণ করেন এবং ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষ জানায় তিনজনের ভিসা হয়নি। বাকি ৩৬ জনকে সৌদি পাঠাতে গত শনিবার সিলেট থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকার উত্তরাস্থ সিলকম হোটেলে তাদেরকে রাখা হয়। ওইদিন ফ্লাইট হওয়ার কথা থাকলেও তাদেরকে জানানো হয় পরদিন ফ্লাইট হবে। কিন্তু রোববারও তাদেরকে হজের জন্য সৌদি আরব পাঠাতে কোনো তৎপরতা না থাকায় ডিসকভারি ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষের প্রতি সন্দেহ হয় হজ যাত্রীদের। বাধ্য হয়ে ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষ জানায় তাদের পাসপোর্টে ভিসা লাগেনি। যাত্রীদের পাসপোর্ট ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষের কাছে থাকায় ভিসা না লাগার বিষয়টি আগে জানতে পারেননি তারা।
সোমবার তাদেরকে সিলেটে ফিরিয়ে আনার কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে কথা বলতে ডিসকভারি ট্রাভেলসের মালিক গিয়াস উদ্দিনের ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে শাহীনুর পাশা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের হজে যাওয়ার ইচ্ছা পূরণ হলো না। মারাত্মক ক্ষতি হলো আমাদের। সামনের বছর আমাদের মধ্যে সবাই বেঁচে থাকবো কী না কে জানে। হয়তো আমাদের অনেকেরই আর হজে যাওয়া হবে না। আমাদের সঙ্গে ডিসকভারি ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করেছে।’
তিনি জাননা, সিলেট ফিরে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।