উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে ব্রিটিশ সংসদ সদস্য (এমপি) ডেভিড অ্যামেস হত্যার ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী কাণ্ড’ বলছে দেশটির পুলিশ। এর সঙ্গে ইসলামী চরমপন্থার যোগসূত্র থাকতে পারে বলেও দাবি করেছে তারা। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা অ্যামেসকে (৬৯) শুক্রবার পূর্ব লন্ডনের বেলফায়ার মেথডিস্ট চার্চের ভেতর একের পর এক ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৫ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর তদন্তভার পাওয়া মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট শনিবার (১৬ অক্টোবর) এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী কাণ্ড বলে উল্লেখ করেছে। এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে এর সঙ্গে ‘ইসলামী চরমপন্থা’র যোগসূত্র থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ লন্ডনের দুটি ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পুলিশের বিশ্বাস, গ্রেফতার ব্যক্তি একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরা এটিকে গণতন্ত্রের ওপর হামলা বলে বর্ণনা করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ডেভিড এমন একজন ব্যক্তি, যিনি এই দেশ ও এর ভবিষ্যৎকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন। আজ আমরা একজন ভালো জনসেবক, প্রিয় বন্ধু ও সহকর্মী হারালাম।
এসেক্স পুলিশের চিফ কনস্টেবল বেন জুলিয়ান হ্যারিংটন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যক্রমে ডেভিড ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে এ ঘটনা সম্পর্কে বেশি কিছু জানাননি তিনি।
যুক্তরাজ্যে গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ নিয়ে দুজন সংসদ সদস্য প্রাণঘাতী আক্রমণের শিকার হলেন। ফলে দেশটিতে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম স্কাই নিউজ জানিয়েছে, ডেভিড হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার ব্যক্তি সোমালি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সানবিডি/ এন/আই