ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে হ্যান্ডসেট উৎপাদনের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্যাক্টরি চালু করলো শাওমি। এই যাত্রার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল ডিভাইসে মেইড ইন বাংলাদেশ তালিকায় যুক্ত হলো বিশ্বের দ্বিতীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ফ্যাক্টরি চালুর ঘোষণা দেয় শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী। বাংলাদেশে ডিবিজি টেকনোলজি বিডি লিমিটেডের সঙ্গে শাওমি স্মার্টফোন তৈরি করবে বলেও জানান তিনি।
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গাজীপুরের বাইপাস রোডের কাছে ভগরায় প্রায় ৫৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের কারখানাটিতে প্রাথমিক অবস্থায় এই কারখানায় প্রায় এক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। শাওমি বাংলাদেশে কারখানাটিতে রেডমি সাব-ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন দিয়ে ফোন উৎপাদন শুরু করছে। কারখানাটিতে শাওমি বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ স্মার্টফোন তৈরি করবে বলেও জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্পখাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘তরুণ নেতৃত্ব ও শাওমির মতো তরুণ কোম্পানির ওপর আমাদের যথেষ্ট বিশ্বাস রয়েছে। এমন নতুন প্রজন্মের সব কোম্পানি ও উদ্যোক্তাই হচ্ছে বাংলাদেশের একেকটা সফলতা। ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে শাওমির প্রথম উৎপাদন ইউনিট স্থাপনে আমরা অংশীদার হতে পেরে অনেক আনন্দিত।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আজকে আমার ও বাংলাদেশের জন্য একটা আনন্দের দিন। কারণ, শাওমির মতো একটা প্রখ্যাত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কারখানা করতে যাচ্ছে। আমদানিকারক দেশ থেকে স্মার্টফোন উৎপাদক দেশ হওয়ায় জন্য আমরা বহুদিন থেকেই যুদ্ধ করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেন, সেটার বাস্তবায়ন এখন দেখা যাচ্ছে। করোনার সময় সেটা আমরা টের পেয়েছি। ডিজিটাল ডিভাইসের গুরুত্ব আমরা বুঝেছি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এই কারখানা চালু ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং এর মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ উদ্যোগ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো। আমার বিশ্বাস, এখন থেকে দেশের মানুষ একটি প্রতিযোগিতামূলক দামে, বিশ্বমানের শাওমির সর্বশেষ সব উদ্ভাবনী পণ্য উপভোগ করতে পারবেন।’
এএ