রংপুর বিভাগের ৮০টি কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষিত ৫০ শতাংশ আলুই অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। এই আলু আগামী দুই মাসের মধ্যে বাজারজাত করতে না পারলে আনুমানিক হাজার কোটি টাকা লোকসানের আশংকা করছেন রংপুর বিভাগের হিমাগার মালিকরা।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রংপুর চেম্বারের উদ্যোগে ‘হিমাগারসমূহে সংরক্ষিত আলুর সার্বিক পরিস্থিতি ও ২০২২ইং সংরক্ষণ মৌসুমে করনীয়’ বিষয় নিয়ে রংপুর বিভাগীয় হিমাগার মালিকদের এক মত বিনিময় সভায় এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
এসময় বক্তারা বলেন, সারাদেশে করোনায় হোটেল সহ সব কিছু বন্ধ থাকায় আলু বিক্রি কম হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও খরচের তুলনায় বাজারে দাম কম থাকায় অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ী হিমাগার থেকে আলু তুলছেন না। এর ফলে রংপুর বিভাগের হিমাগারে শেডভর্তি আলু পড়ে আছে। রংপুর বিভাগের হিমাগার মালিকরা সরকারকে এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, চলতি মৌসুমের আলু বাজারজাতকরণের আর মাত্র দুই মাস বাকি। এর মধ্যে সংরক্ষিত আলু বাজারজাত না হলে বিপুল পরিমাণ আলু অবিক্রীত থাকবে। সেগুলো ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। বিগত ১০ বছরের মধ্যে ছয় বছরই লোকসান দিয়ে হিমাগার মালিকরা পথে বসার উপক্রম হয়েছেন। তাই ভর্তুকি দিয়ে হিমাগার মালিকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি, বিসিআই ও রংপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি, মোতাহার গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর কর্ণধর মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টিএমএসএস এর প্রতিষ্ঠাতা ও বগুড়া জেলা হিমাগার মালিক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইজাব গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসতিয়াক আহমেদ, ইউনুছ গ্রুপের এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুছ, রংপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, রাজ্জাক গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও চেম্বারের সভাপতি হাবিবুল ইসলাম বাবলুসহ প্রমূখ।
এএ