পেঁয়াজের জ্বালাতেই অস্থির হয়ে গেছি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।বাণিজ্যমন্ত্রী হিসাবে কৃষিখাতের এই পণ্যটি নিয়ে তাকে বেশ অস্বস্থিতে পড়তে হয়। এ জন্য সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে ফলন পাওয়া সম্ভব ও দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করে রাখা যায় এমন পেঁয়াজের জাত উদ্ভাবন করতে বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর: কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক কৃষি সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দৈনিক পত্রিকা বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
এ সময় সঠিক পরিসংখ্যানের গুরুত্ব তুলে ধরে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আমাদের পরিসংখ্যানে ঝামেলা আছে। গত বছর এক কোটি ৬ লাখ মে. টন আলু উৎপাদন হয়েছিল। আমাদের চাহিদার কথা বলা হয় ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টন। এ হিসাবে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন আলু বাড়তি থাকার কথা। সে সময়ে রফতানি বন্ধ ছিল। তারপরও আমাদের ঝামেলা হয়েছিল। তখন আমরা বুঝতে পারি নাই প্রকৃতপক্ষে আমাদের উৎপাদন কম হয়েছে না চাহিদা বেশি ছিল। এ হিসাবটা আমাদের সঠিকভাবে আসেনি।’
পেঁয়াজের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ থেকে ২৫ লাখ টনের মতো। এর বিপরীতে আমাদের উৎপাদন হয়েছে ৩০ লাখ টনের বেশি। তারপরও আমদানি করতে হয়। কারণ মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ২০ ভাগ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। আবার যেটুকু আমদানি করতে হয় তার ৯০ ভাগ পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ভারতে যখন সমস্যা তৈরি হয় আমাদের দেশেও একই সমস্যা দেখা দেয়। এখানে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চাহিদার সঠিক হিসাবটাও থাকা দরকার। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেই মূলত পেঁয়াজ নিয়ে সমস্যাটা হচ্ছে। এ সময়ে পেঁয়াজের উৎপাদন করা যায় কিনা এবং উৎপাদিত পেঁয়াজের যথাযথ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা সে বিষয়ে কাজ করার দরকার আছে।’
সানবিডি/এনজে