প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত এক দশক গড়ে ৭.৪ শতাংশ অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রোববার (২৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। দুইটি ভূগর্ভস্থ বেইজমেন্টসহ ১২তলা বিশিষ্ট এ ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৮.৬৩ কোটি টাকা। ভবনটি নির্মাণ করা হলে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের স্থায়ী দফতর সেখানে স্থাপন করা হবে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের চূড়ান্ত যোগ্যতা অর্জন একই সূত্রে গাঁথা। বিশেষ ঘটনার যোগসূত্রের বছরটি বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে লাল অক্ষরে লেখা একটি বছর। এ গৌরবোজ্জ্বল বছরে এনজিও ফাউন্ডেশন একটি নিজস্ব ভবন নির্মাণ করছে। জাতির পিতা একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার আজীবনের স্বপ্ন ছিল একটি দারিদ্র্যমুক্ত ও শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, জাতির পিতার সেই অর্থনৈতিক দর্শন অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত এক দশক গড়ে ৭.৪ শতাংশ অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এমনকি অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯ মহামারিকালে গত বছর যেখানে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, এমন ক্রান্তিকালেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত মাসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভার টেকসই উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২১ এ আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে। এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়ে যে, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) ক্ষুদ্র একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্ষুদ্র পরিসরে এই উন্নয়ন পথযাত্রায় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ফাউন্ডেশনের আয়বিধায়ক তহবিলে স্থিতি রয়েছে ২৭০ কোটি টাকা। এটা অবশ্যই ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যের ইঙ্গিত বহন করে। এটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক যে, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এনজিওর মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া, অসহায়, অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৭ হাজার গ্রামে ১ হাজার ১২০টি এনজিও (সহযোগী সংস্থা) ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে হতদরিদ্র মানুষের সেবা করে যাচ্ছে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন।
এএ