ভেজাল ও নিম্নমানের চকলেট খেয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকার একটি মাদ্রাসার নয় শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাত সোয়া ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন শিশুরা হলো শহরের কুন্তল এলাকার পূর্ব পাড়ার আলিফ (৭), সাফি (৬), সামিয়া (৮), মৌমিতা (১০), আয়ান (৭), নিমু (৮), ইসমাইল (৭), আফসান (৯) ও রুহি (৬)।
শিশুদের অভিভাবকরা জানান, কুন্দল পূর্বপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ গতকাল সকালে ৬০ থেকে ৭০ শিক্ষার্থীকে এক প্যাকেট করে চকলেট দেয়। শিশুদের অনেকে দুপুরে বাড়িতে এসে এসব খাবার খায়। সন্ধ্যার দিকে শিশুদের বমি ও ডায়রিয়া দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চকলেট নিম্নমানের ছিলো বলে তাঁদের মনে হচ্ছে।
হাসপাতালে ফজলুর রহমান ও নাসরিন নামের দুজন অভিভাবক জানান, শফিকুল ইসলাম নামের একজন স্কুলশিক্ষক প্রায়ই শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন। শিশুদের মাদ্রাসামুখী করতে তিনি এমনটা করেন। প্যাকেটের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের শেষ দিন ছিলো গতকাল শনিবারই।
খাবার বিতরণকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, প্যাকেটের মোড়কে মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার বিষয়টি নজরে আসেনি। মোড়কের ভেতরের খাবারটি যে নিম্নমানের ছিলো, তা নিশ্চিত।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানান, বমি ও ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে আসা শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের শিশু ও ডায়রিয়া বিভাগে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
এএ