তুরস্কে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০টি পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান। কারাবন্দী এক নেতার মুক্তি চাওয়ায় শনিবার তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি এই ১০ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার (২৫ অক্টোবর) কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার কূটনৈতিক আচার–নিয়ম মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে তুরস্কের সঙ্গে তার পশ্চিমা মিত্রদের কূটনৈতিক সংকট আপাতত স্তিমিত হলো।
এরদোয়ান সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা (রাষ্ট্রদূতেরা) তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে আরও সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংকট সৃষ্টি করা কখনোই আমাদের লক্ষ্য নয়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অধিকার, আইন, সুনাম ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।
এরদোয়ান বলেন, ‘সোমবার একই দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকে নতুন একটি বিবৃতিতে আমাদের দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে এমন অপবাদ দেয়া থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এ রাষ্ট্রদূতেরা তুরস্কের সার্বভৌম অধিকার সম্পর্কে তাদের বিবৃতির ব্যাপারে আরও সতর্ক হবেন।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর যৌথ বিবৃতিতে সুশীল সমাজের কারাবন্দী নেতা ওসমান কাভালার মুক্তি নিশ্চিত করতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানান দেশটিতে নিযুক্ত ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত। বিক্ষোভে অর্থায়ন ও একটি অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার বছর আগে আটক হয়েছিলেন কাভালা।
এএ