উত্তরাঞ্চলের ধানের জেলা দিনাজপুরে খুব শিগগিরই সুগন্ধি ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহাজান কবীর বলেছেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালীন উচ্চফলনশীল জাতের ব্রি ধান-৮৭ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। কম সময়ে উৎপাদিত ধান ঘরে তুলতে পারায় তারা আগাম ধান কেটে অন্যান্য রবি শস্য যেমন রসুন, গম, সরিষা, আলু উৎপাদনের সুযোগ পাচ্ছেন। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। এ ধানে চিটা এবং পোকামাকড়ের আক্রমণও কম। ফলে উৎপাদন বেশি হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন উল্লেখ করে মহাপরিচালক আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন কারো মুখাপেক্ষী নয়, প্রয়োজনে আমরা অন্যের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখি।
আজ মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর গ্রামে ধানের ব্রি-৭৮ জাতের মাঠ দিবস ও ফসল কর্তন উৎসবের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ব্রি মহাপরিচালক ড. মো. শাহাজান কবীর।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপরিচালক কৃষিবিদ প্রদীপ কুমার গুহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শহীদুল ইমলাম ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নাজমুল বারী।
সানবিডি/এনজে