সৌদি আরবের খেজুর, ভিয়েতনামি নারিকেলসহ নতুন চার ফসলে কৃষি ঋণ দেওয়ার নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বর্ণিত শস্য, ফসল, ফল-ফুল ইত্যাদির সঙ্গে সৌদির খেজুর, ভিয়েতনামি নারিকেল, সুইট কর্ণ ও কফি চাষ অন্তর্ভুক্ত হবে। সৌদির খেজুর চাষে (বাগান পরিচর্যার জন্য) একর প্রতি ১০ লাখ পাঁচ হাজার ৪০০ টাকার ঋণ পাবেন একজন কৃষক। ভিয়েতনামি নারিকেল উৎপাদনে একজন কৃষককে চার লাখ ২৯ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হবে। সুইট কর্ণ চাষে একর প্রতি ৬৬ হাজার টাকা এবং কফি চাষ করার জন্য একরে সর্বোচ্চ তিন লাখ ৮৪ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হবে কৃষককে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সৌদির খেজুর, ভিয়েতনামি নারিকেল ও কফি চাষের জন্য সারা বছর ঋণ নিতে পারবেন কৃষক। তবে সুইট কর্ণে ঋণ দেওয়া হবে ১৫ নভেম্বর-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ঋণ পরিশোধের স্বাভাবিক সময়সীমা ফসল সংগ্রহের পর থেকেই শুরু হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার ঋণ কৃষিখাতে বিতরণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। ব্যাংকগুলো ওই অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার ৯৭ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে সক্ষম হয়।
অর্থাৎ ব্যাংকগুলো ২৫ হাজার ৫১১ কোটি টাকা বিতরণ করতে সক্ষম হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরেও কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয় ব্যাংক। ২০২১-২২ অর্থবছরের আলোচিত জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বরে কৃষিঋণ ৫ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কৃষিঋণ আদায় হয়েছিলো ৬ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা।
অন্যদিকে গত এপ্রিলে বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষিখাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। প্যাকেজের আওতায় গত ৩০ জুন পর্যন্ত পোল্ট্রি, ডেইরি ও প্রাণিসম্পদ, হর্টিকালচার, ফুল, ফল, মৎস্যখাতে ৪ হাজার ২৯৫ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সেপ্টেম্বরে আরও ৩ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক বর্গাচাষিরা জামানত ছাড়াই ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। তহবিলের মেয়াদ হবে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
এএ