মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে দেশের অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা যায়।মহামারির সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে সংস্থাটি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঋণচুক্তি সই হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন চুক্তিতে সই করেন । ‘রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সডমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর ইম্পলয়মেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
করোনায় এ ক্ষতিগ্রস্ত শহরাঞ্চলের নিম্নআয়ের যুব সম্প্রদায় এবং বিদেশফেরত অভিবাসী শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচ্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) ২০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থায়ন করবে। বিশ্বব্যাংক ঋণে পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য সুদের হার ১ দশমিক ২৪ শতাংশ। এর সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং অনুত্তোলিত অর্থের ওপর সর্বোচ্চ কমিটমেন্ট চার্জ শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ।
সানবিডি/এনজে