শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও হারল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। মঙ্গলবার আবুধাবির মাঠে ব্যাটসম্যানরা উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিল করলেন শুধু, ব্যাট করতে ভুলেই গেলেন। তারপর আর বোলারদের কী করার থাকে? বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা। ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে তাদের পয়েন্ট ৯।
আর টানা চতুর্থ হারের ফলে সেমিফাইনালের আশার চূড়ান্ত সমাধী হয়ে গেছে বাংলাদেশের। সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে প্রথম দল হিসেবে। অথচ নামিবিয়ার মতো দলও এখনো টিকে আছে লড়াইয়ে।
মঙ্গলবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক শুরু করেন লিটন দাস ও নাঈম শেখ। তবে প্রথমবার হাত খুলতে গিয়েই কাগিসো রাবাদার বলে হেনড্রিকসের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। পরের বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সৌম্য সরকার।
সেই রেশ না কাটতেই চিরাচরিত নিয়মে স্লিপে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিম। তাকেও শিকার করেন রাবাদা। নাঈম বাদে দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। এতে ২৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই জায়গায় আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অ্যানরিখ নরকিয়ার বলে সাজঘেরে ফেরেন তিনি। পরক্ষণেই ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের বলি হন আফিফ হোসেন। তিনিও রানের দেখা পাননি।
এরই মধ্যে তাবরাইজ শামসির এলবিডব্লিউ হন লিটন। রান তুলতে যা একটু চেষ্টা করেন তিনিই। তবে ৩৬ বলে ২৪ রান করে লিটন ফিরতেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাংলাদেশ। পরে এখান থেকে কেউই ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। শামসির বলে অভিষিক্ত শামীম হোসেনও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দ্রুত। এ চাপে রানআউটে কাটা পড়েন তাসকিন।
তবে শেষদিকে লড়ার চেষ্টা করেন মেহেদী। তাতে সম্মান বাঁচে বাংলাদেশের। নরকিয়ার বলে ফেরার আগে তিনি করেন দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৭ রান। তার বলেই নাসুম আহমেদ হিট উইকেট হয়ে ফিরলে ১৮.২ ওভারে ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের হয়ে টাইগারদের গুঁড়িয়ে দিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন রাবাদা। তাকে যোগ্য সমর্থন দেন নরকিয়া। উভয়ই ঝুলিতে ভরেন ৩টি করে উইকেট।
স্বল্প রান তাড়ার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সূচনাতেই হোঁচট খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনড্রিকসকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু ওয়ানডাউনে নেমে কুইন্টন ডি কককে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। তবে হঠাৎ মেহেদী হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ডি কক। এরপর এইডেন মার্করামকে দ্রুত তুলে নেন তাসকিন। ফলে প্রোটিয়াদের স্কোর দাঁড়ায় ৩৩/৩। ততক্ষণ পর্যন্ত খেলায় ছিল বাংলাদেশ।
তবে ডুসেনকে নিয়ে শক্ত জুটি গড়েন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এতে জয়ের পথে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।শেষদিকে ২৭ বলে ২২ রান করে ফেরেন ডুসেন। ততক্ষণে জয় হাতছোঁয়া দূরত্বে তাদের। পরে ৪ মেরে ফিনিশিং দেন ডেভিড মিলার। তিনি ৫ ও বাভুমা ২৮ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন তাসকিন।
এএ