বিয়ে মানেই পরিবর্তন! জীবনযাপনের ধারার পরিবর্তন, মানসিক পরিবর্তন, সম্পর্কের পরিবর্তন। যা নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই হয়। এত কিছুর পরিবর্তনের মাঝে তাদের অনুভূতিরও পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনটা একেবারেই আলাদা। বিয়ের পর নারীরা দুঃখী হয় আর পুরুষরা হয় রাগী! সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এই গবেষণা থেকে জানা যায়, যখন কোনো বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয় তখন নারীরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। তারা এ সময়টা ভীষণ কষ্টের মধ্য দিয়ে পার করে। একটা সময় তারা বিষণ্যতায় আচ্ছন্ন হয় পড়ে। অথচ পুরুষদের ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারে ভিন্ন। তারা খুব একটা বিষণ্য হয় না।
দুঃখ, চিন্তা এবং বিষণ্ণতা— এই তিন নেতিবাচক বিষয়ই গবেষকদের তথ্যে উঠে এসেছে। দীর্ঘ দিনের দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে এই তিন সমস্যা নারী-পুরুষের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রকাশ পায়।
‘পুরুষরা দাম্পত্যের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে খুব বেশি আগ্রহী হয় না এবং এই বিষয়ে তারা ততটা চিন্তাও করে না,’ বললেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে অবস্থিত রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবোরাহ কার। দেবোরাহ আরো বলেন, ‘পুরুষা কখনোই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে চায় না। অথচ নারীরা তাদের দুঃখ বা কষ্টের কথা বলতে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।’
মোট ৭২২ জন দম্পত্তি এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন, যাদের বয়স ৩৯ বছরের মধ্যে। তাদের প্রত্যেককে আলাদা করে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক কেমন। এর উত্তরে সঙ্গীর প্রতিক্রিয়া ও আবেগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণা করা হয়।
যখন এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন স্ত্রীরা বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যার জন্য নিজেদের দায় স্বীকার করে নেয়। দেবোরাহ বলেন, ‘এই সমস্যায় নারীরা বেশি দুঃখী হলেও, তারা তাদের স্বামীর কাছ থেকে মানসিক সহযোগিতাও বেশি পায়।’
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ তাদের বৈবাহিক সম্পর্ককে খুব ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে, তারা তাদের সঙ্গীকে মানসিকভাবে অনেক সহযোগিতা করে এবং সম্পর্ক নিয়ে মাঝে মাঝে এই পুরুষরা হতাশাগ্রস্তও হয়। তবে বেশির ভাগ পুরুষই হতাশ হওয়ার বদলে ক্রুদ্ধ হয়, স্ত্রীর কাছে তখন রাগটাই প্রকাশ পায় স্বামীর।
‘তবে যেসব পুরুষের বয়স বেশি, তারা হয় তো স্ত্রীর সহযোগিতা পাওয়ার পরও হতাশ একটু বেশি হয়। বিশেষ করে তারা যখন নিজেকে অসহায় এবং স্ত্রীর থেকে কম উপযুক্ত মনে করে,’ বললেন দেবোরাহ।
সানবিডি/ঢাকা/আহো