ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে চলছে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। শুক্রবার সকাল পরিবহন খাতের মালিক-শ্রমিকদের একাধিক সংগঠন যাত্রী-পণ্যবাহী যান বন্ধের ঘোষণা দেয়। পরিবহন ধর্মঘটে শুক্রবার থেকে কার্যত পুরো দেশ থমকে রয়েছে।
পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে সবজি-ফলমূলের বাজারে। ফলে ক্রেতাকে রাস্তায় চলাচলে ভোগান্তির পাশাপাশি চড়া দাম গুণতে হয়েছে শীতের সবজি কেনাকাটায়।
প্রকার ভেদে সবজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে দাম। এর মধ্যে কিছু সবজির দামে সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। সবচেয়ে বেশি দামে শিম, টমেটো ও কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১৪০ থেকে ১৫০, ১২০ থেকে ১২৫ ও ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।
শনিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর রামপুরা, মধু্বাগ, মালিবাগ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
যেখানে ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৬০ টাকা (আকার ভেদে), কচুর লতি কেজি প্রতি ৫৫-৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, মুলা-৬০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, ঢেড়শ ৬০-৭০ টাকা, শিম ১৪০-১৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০-৪০ টাকা এবং লাউ আকার ভেদে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ১২০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০-১৬০ ও আলু দাম কিছুটা বেড়ে ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, রসুন ১৩০-১৪০ টাকা ও আদা ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে ডিমের দামও, ডজন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়।
এ বিষয়ে সবজি বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, বাজারে সবজির কমতি নেই তারপর দামও কমছে না। আবার শুরু হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট। দফায় দফায় দাম বাড়ছে। আমরা কি করবো? পাইকারি দাম বেশি হলে তার প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়বে।
অন্যদিকে স্বস্তি নেই মুরগি বাজারেও। ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১৬০-১৬৫ টাকা, সোনালী কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৮০-৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪০০-৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অস্বস্তি শাকের বাজারেও। লালশাক, পালংশাক, মুলাশাক, সরিষা শাক ১০-২০ টাকা আঁটি, পুইশাক আটি প্রতি ২০ ও লাউশাক ৩০-৪০ টাকা দরে আঁটি বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে রামপুরা বাজারের ক্রেতা মিলন বলেন, আমাদের মতো নিম্ন-মধ্যবিত্তরা চরম বিপাকে আছে। বাজারে কোনো পণ্যের দাম ঠিক থাকে না। যে যেমন খুশি জিনিসপত্র বেশি দামে বিক্রি করছে। সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এবার সঙ্গে যোগ হয়েছে ধর্মঘট। তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে আবার সবকিছুর দাম বাড়বে। বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
সানবিডি/ এন/আই