বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকায় বিশ্বের সব দেশেই এর প্রভাব পড়েছে।চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের সামঞ্জস্য না থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম সাত বছরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তেলের দামে ভারসাম্য আনতে বিশ্বের তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক এবং তাদের সহযোগী দেশগুলোকে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারপরও গত বৃস্পতিবারের বৈঠকে ওই দেশগুলো নিজেদের আগের অবস্থানে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ওপেকসহ তেল উৎপাদনকারী বিভিন্ন দেশ নিজেদের সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারলে আপাতত জ্বালানি তেলের দামের লাগাম টানা সম্ভব হতো। কিন্তু তারা এমন পদক্ষেপ নিতে অনীহা প্রকাশ করেছে। কী পরিমাণ তেল উত্তোলন করা হবে এবং বাজারে কী পরিমাণ তেল আসবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ওপেক। সে কারণে জ্বালানি তেলের দাম বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
আপাতত ডিসেম্বর পর্যন্ত দিনে চার লাখ ব্যারেল করে উৎপাদন বাড়ানোর কথা জানিয়েছে ওপেক। এই পরিমাণ বিশ্ব বাজারে তেলের চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়। ফলে বিশ্ব বাজারে এখনই তেলের দাম দ্রুত কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে ওপেক জানিয়েছে, তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্তই গ্রহণ করেছে। তারা এখনই তেল উৎপাদন বাড়াতে চায় না।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। গত বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছে, যা ওইদিন রাত ১২টা থেকে কার্যকর হয়।
সূত্র: সিএনবিসি, অ্যাজিউম টেক