ডিজেলের দাম বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে বাসের পরে বাড়লো লঞ্চভাড়াও। লঞ্চের ভাড়া ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে চলমান লঞ্চ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কার্যালয়ে সরকারের সঙ্গে লঞ্চ মালিকদের বৈঠকে ভাড়া বাড়ানো ও ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক জানান, লঞ্চভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ২ টাকা ৩০ পয়সা ও ১০০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
যাত্রীপ্রতি ২৮.৮২ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছিল বিআইডব্লিউটিএ। পূর্বের কিলোমিটার প্রতি ১ টাকা ৭০ পয়সার সঙ্গে ০.৪৯ টাকা বৃদ্ধি করে এ ভাড়া প্রস্তাব করছিল সংস্থাটি।
সবশেষ ২০১৩ সালে যাত্রীবাহী নৌযানের ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করা হয়। ওই সময় ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা, ১০০ কিলোমিটার অধিক দূরত্বের জন্য জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪০ পয়সা এবং জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা নির্ধারিত হয়। কিন্তু ২০১৩ সালের পর জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি না পাওয়ায় যাত্রীদের ভাড়া আর বৃদ্ধি করা হয়নি।
সরকার গত ৪ নভেম্বর জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নৌযানের পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌযান মালিক সমিতি বা সংস্থার পক্ষ থেকে ৬ নভেম্বর রাতের মধ্যে যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়। অন্যথায় নৌযান পরিচালনা বন্ধ করে দেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
এএ