জ্বালানি তেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে 'দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে' এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'এই সমাবেশ থেকে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করছি। কর্মসূচি হচ্ছে- জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ১০ নভেম্বর দেশের মহানগরগুলোতে, (ঢাকা বাদ দিয়ে, কারণ আজকে ঢাকায় কর্মসূচি হয়েছে) প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। আর একই দাবিতে আগামী ১২ নভেম্বর সারাদেশের জেলা সদরগুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।'
ঢাকা মহানগর আজকে প্রতিবাদ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিতে হবে। সমগ্র দেশে জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে। কারণ এই আওয়ামী লীগ যত বেশিদিন থাকবে ততই জনগণের কষ্ট, ভোগান্তি বাড়বে এবং অসহায় থেকে আরও অসহায় হবে, গরীব থেকে আরও গরীব হবে। আমাদের অর্থনীতি নষ্ট হবে এবং আমাদের কথা বলার সুযোগ নষ্ট হবে। তাই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে মাঠে নামাতে হবে।'
বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনা শুরুর আগে এদেশের দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দুই কোটি ছিল। এখন দরিদ্র হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ। প্রতিদিন মানুষের দারিদ্র্য বাড়ছে। সুতরাং সাধারণ মানুষ দিনের পর দিন গরীব থেকে গরীব হচ্ছে।
সরকারের চরিত্র হচ্ছে লুট করা- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার একদিকে অর্থনীতিকে লুট করছে। অন্যদিকে জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভারী করছে। আপনারা দেখেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা তারা পাচার করেছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা পকেট কাটা সরকার, যাদের সবাই বলে পকেটমার। এই পকেটমার সরকার পর পর দুইবার জনগণের পকেট কাটলো। একবার পকেট কাটলো- ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়ে। দ্বিতীয়বার জনগণের পকেট কাটলো বাস ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে। সব পাতানো ও সাজানো খেলা।
ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এএ