নিহত ইরানী হাজিদের দাফন সম্পন্ন
আপডেট: ২০১৫-১০-০৫ ১৪:০০:৩৪
ইরানে রোববার মিনা দুর্ঘটনায় নিহত হাজিদের দাফন অনুষ্ঠানে হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ অংশ নিয়েছিল। গত মাসে সৌদি আরবে হজ করতে গিয়ে এসব হাজিরা প্রাণ হারান। এ নিয়ে প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।
সৌদি আরব থেকে দু দফায় ২১৮ জনের লাশ ইরানে এসে পৌঁছেছে। রোববার সকালে ১১৪ জনের লাশ আসে তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে। এর আগে শনিবার আসা ১০৪ লাশের দাফন হয়েছে রোববার। নিহত হাজিদেরকে নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয় এবং সেসব দাফন অনুষ্ঠানে বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মিনার ঘটনায় এ পর্যন্ত ইরানের ৪৬৫ জন হাজি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে রোববার রাজধানী তেহরানে নিহত হাজিদের ওপর এক শোকসভার আয়োজেন করা হয়। সেখানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইমাম আয়াতুল্লাহ খামেনিসহ শীর্ষ পর্যায়ের বহু সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তারা নিহত হাজিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
মিনায় পদদলিতের মর্মান্তিক ঘটনার জন্য সৌদি সরকারকে দায়ী করেছে ইরান। যদিও তেহরানের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রিয়াদ। তারা মিনার ঘটনার জন্য হাজিদের বিশৃঙ্খলাকে দায়ী করেছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, মিনার ঘটনায় সবমিলিয়ে ৭৬৯ জন হাজি প্রাণ হারিয়েছে। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হবে বলেই মনে হয়। মক্কায় হজ চলাকালীন সময়ে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মিনার এক হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, মিনা দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।
যদিও ইরান বলছে, মিনায় সবমিলিয়ে ৪ হাজার ৭শ জন প্রাণ হারিয়েছে। তবে তারা এ দাবির পক্ষে কোনো যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ দিতে পারেনি।
ইসলাম ধর্মের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হচ্ছে হজ। চলতি বছর বিশ্বের ১৮০টি দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজে অংশ নিয়েছিল।