দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় তিন দিন পর সচল হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর। কনটেইনার ওঠানামা এবং পণ্যবাহী পরিবহন আসা-যাওয়ার মধ্য দিয়ে আবারও পুরোদমে কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বন্দর।
সোমবার রাতে ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে পর পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে। এরপর রাত থেকেই ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইম মোভার, লরি বন্দরে প্রবেশ করতে থাকে।
সরকারি সিদ্ধান্তে গত বুধবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বেড়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার পরিবহন চালানো বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ট্রাক-কভার্ড ভ্যান ড্রাইভার ইউনিয়ন। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার অথবা ভাড়া বাড়ানো না হলে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে বাস এবং পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।
এ অবস্থায় সারাদেশের মতো বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় চলাচলকারী সব বাস এবং এর সঙ্গে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা সরাসরি যাওয়া দূরপাল্লার বাস চলাচল শুক্রবার সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। একইসঙ্গে পণ্য বহনকারী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান, লরি-প্রাইম মোভার চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। ভাড়া বাড়ানোর পর সোমবার সকাল থেকে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হলেও পণ্য বহনকারী পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকে। রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্মঘটের ইতি ঘটে।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর সোমবার রাত ১০টার পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন শুরু হয়। আমদানি পণ্যবোঝাই কনটেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের হতে শুরু করে। অন্যদিকে রফতানি পণ্যবোঝাই কনটেইনারগুলো বিভিন্ন ডিপো থেকে বন্দরমুখী হয়। ফলে জাহাজে পণ্য ওঠানামায়ও গতি ফিরে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পুরোপুরি কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে। রফতানি জাহাজ দ্রুত যেন চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমদানি জাহাজ থেকেও পণ্য খালাস দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে। আশা করছি কোনো সংকট হবে না।’
সানবিডি/এনজে