জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ৮ নভেম্বর থেকে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু সিএনজিচালিত পরিবহন এই বর্ধিত ভাড়ার আওতামুক্ত বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বাস চালক-মালিকরা এ নির্দেশনা মানেননি। গত দুইদিনে সব ধরনের পরিবহনেই বর্ধিত ভাড়া আদায় করার খবর পাওয়া গেছে। বিআরটিএ’র অভিযানেও মিলেছে এর সত্যতা।
এছাড়া, সড়কে কোনটা সিএনজিচালিত পরিবহন, কোনটা ডিজেলচালিত, যাত্রীরা চিনবেন কীভাবে, এমন প্রশ্নও উঠেছে। এ সমস্যার সমাধান করেছে বিআরটিএ। তারা চেনার সুবিধার্থে সিএনজিচালিত পরিবহনে স্টিকার লাগানোর নির্দেশনা দিয়েছে। সড়ক পরিবহন মালিকদের দেওয়া ওই নির্দেশনায় সংস্থাটি বলেছে, স্টিকার না লাগালে বিআরটিএ ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে বিআরটিএ’র পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, সিএনজিচালিত পরিবহনে স্টিকার লাগাতে আমরা মালিকদের চিঠি দিয়ে দিয়েছি। স্টিকার না লাগালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, ৮ নভেম্বর বিআরটিএ ১৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২২০টি গাড়ি মনিটরিং করেছে। এর মধ্যে ৫৯টি সিএনজিচালিত পরিবহন ছিল। ডিজেলচালিত ৩৮টি গাড়ি ও ২৯টি সিএনজিচালিত গাড়িকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। ওইদিন মোট আদায় করা জরিমানার পরিমাণ এক লাখ ৫৪ হাজার ১০০ টাকা।
প্রতিদিনিই সড়কে বিআরটিএ’র এই মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) সারওয়ার আলম।
সানবিডি/ এন/আই