ছেলে মেয়েদের একাডেমিক শিক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান অর্জনে উৎসাহিত করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীতে অফিসার্স ক্লাব, ঢাকার সদস্যগণের মেধাবী সন্তানদের সংবর্ধনা-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, জ্ঞানের চেয়ে বড় কোনো শক্তি নেই। সফল ব্যক্তি হতে হলে মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে। শুধু একাডেমিক শিক্ষা নয় এর পাশাপাশি সন্তানদের বিভিন্ন বিষয়ে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, মানব সেবার চেয়ে বড় কোনো সেবা নেই। সেই প্রকৃত মানুষ যে অন্যের দুঃখ অনুভব করতে পারে। শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলি অর্জন করার পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, যার যে প্রাপ্য সম্মান তাকে তা দিতে হবে। একজন রিক্সা চালক, শ্রমিক অথবা কৃষকের সম্মান রয়েছে। কাউকে অবহেলা বা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। একজন মানুষের জীবন তখনই সার্থক হয় যখন মানুষের জন্য কাজ করা যায়। জন্ম তখনই স্বার্থক হয় যখন অন্যের উপকারে নিজেকে উৎসর্গ করা যায়।
আজকের তরুণ-তরুণীরা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সারথি উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পথ নকশা তৈরি করেছেন। সে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের শাসন-শোষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। ধ্বংসস্তূপ দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অল্প সময়ের মধ্যে যে উন্নয়ন যাত্রা শুরু করেছিলেন তা স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে থামিয়ে দিয়েছিলো। দীর্ঘসময় পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আবারও দেশ গঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই দেশ এখন বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেল। যে দেশে মানুষ না খেয়ে মারা যেতো সেই দেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ করেছেন শেখ হাসিনা বলেও জানান তিনি।
অফিসার্স ক্লাবের কল্যাণ ও সেবা উপকমিটির চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ক্লাবের ভাইস-চেয়ারম্যান কে এম মোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট, মেডেল ও বই উপহার দেয়া হয়।
এএ