বরিশালে রেললাইন স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে পিরোজপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টাঙ্গাইলবাসী যেমন রেললাইন থেকে বঞ্চিত হয়নি, বরিশালবাসীও হবে না। বরিশালবাসীও রেললাইন দেখবে, রেলে করে যেতে পারবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত অনেক নদী। এসবের ওপর রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য বিশদ নকশা প্রণয়নের আগে সম্ভাব্যতা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ২৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে শুধু সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য। ট্রেন কোন লাইনে যাবে, সে বিষয়ে বিশদ পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেহেতু সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে, আশা করা যায় যে, আগামীতে বরিশালবাসীও রেললাইন দেখবে। রেলে করে যেতে পারবে। আগে যেমন টাঙ্গাইল জেলায় কোনো রেললাইন ছিল না। আমরা ক্ষমতায় আসার পর সেতুতে রেললাইন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করি। এটা করে দেওয়াতে টাঙ্গাইলবাসী প্রথম রেললাইন দেখে। কাজেই বরিশালবাসীও রেললাইন দেখবে।’
চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমিও কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এবং পদ্মাপাড়ের মানুষ। এই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষগুলো সবসময় অবহেলিত। কেউ কখনো এই অঞ্চলের মানুষের দিকে ফিরে তাকায়নি। অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রে নৌকায় ভোট দেয় বলে আওয়ামী লীগ ছাড়া যে যখন ক্ষমতায় এসেছে, বিমাতাসূলভ আচরণ করেছে। কিন্তু আমরা সরকারে আসার পর থেকে এই অঞ্চলের অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষগুলোর ভাগ্য উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও উদ্যোগ হাতে নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটি পরিকল্পনা আছে যে, প্রয়োজনে বাংলাদেশের যতগুলো হাইওয়ে রাস্তা আছে ভবিষ্যতে ফোরলেন করা হবে। যেগুলো এখন ফোরলেন আছে, সেগুলো ছয় লেনে উন্নীত করব।’
সানবিডি/ঢাকা/রাআ