স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও মাদকের সমস্যার কবলে পড়েছে।তিনি বলেন,প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অবৈধ মাদক প্রবেশ করে। ইয়াবা আসে মিয়ানমার থেকে আর গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ ভারত থেকে অনুপ্রবেশ করে।
আজ রোববার(১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
এ সময় তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ২৩ হাজার ৮০০টি মামলা দায়ের করে ৩১ হাজার ৫৪৫ জন মাদক চোরাকারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এসব মামলায় এক কোটি ৫৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩৮ পিস ইয়াবা, ১১৬ দশমিক ১৮৭ কেজি হেরোইন, ২০ হাজার ৭৪২ কেজি গাঁজা, ৮১ হাজার ৪৮৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৯ হাজার ২৪৮ অ্যাম্পুল ইনজেক্টিং ড্রাগ এবং ৫৭ হাজার ৯৭১ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা আগামী ২৪ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের পরিকল্পন রয়েছে।
নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনমন্ত্রী জানান, সর্বশেষ তাঁতশুমারি (২০১৮) অনুযায়ী বর্তমানে তাঁতশিল্পের সংখ্যা এক লাখ ১৬ হাজার ১১৭টি। তাঁতীর সংখ্যা তিন লাখ ১৬ হাজার ৩১৫ জন।
সানবিডি/এনজে