মিসরের মধ্যস্থতায় বন্দিবিনিময় করতে রোববার কায়রোতে আলোচনায় বসে হামাস ও ইসরাইল।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে এই দুপক্ষ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। টানা ১২ দিন যুদ্ধের পর মিসরের মধ্যস্থতায় তারা যুদ্ধবিরতি করে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি টেকসই করতে দুপক্ষ এ আলোচনায় বসে। খবর আনাদোলুর।
ইসরাইলের একটি গোয়েন্দা দল এ আলোচনায় অংশ নেয়। হামাসের সঙ্গে আলোচনার পর তারা আলাদাভাবে মিসরের গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে রোববার গভীর রাতে কায়রো ত্যাগ করে।
উল্লেখ্য, হামাসের কাছে ২০১৪ সালের যুদ্ধে নিহত ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য ওরন শোল এবং হাদার গোলদিনের লাশের দেহাবশেষ রয়েছে।
এ ছাড়া ২০১৪ ও ২০১৫ সালে স্বেচ্ছায় গাজা উপত্যকায় যাওয়া ইসরাইলি নাগরিক আভেরা মেনজিসটু ও হাইসাম আল সাইয়েদও হামাসের কাছে বন্দি আছেন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, বন্দিবিনিময় করতেই হামাস শাসিত গাজা উপত্যকায় ইসরাইল বিধিনিষেধ শিথিল করছে।
হামাস-ইসরাইলের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন করতে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ সিসি নিজেই বিষয়টির খোঁজখবর রাখছেন।
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরাইলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করতে হামাস ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি করছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
ইসরাইলের কারাগারে ফিলিস্তিনের সাড়ে চার হাজার নাগরিক বন্দি রয়েছেন। এদের বেশিরভাগই বিনা কারণে গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন।
সানবিডি/এনজে