মিথ্যা তথ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনলে দণ্ডের বিধান রেখে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে প্রণয়নের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।
খসড়া এই আইনে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি নিজের বা অন্য কারো পক্ষে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের জন্য কোনো মিথ্য তথ্য দেন তবে তার সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল অথবা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা হবে। এখনকার আইনে জরিমানা সুনির্দিষ্ট করা ছিল না।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ‘সরকারি ঋণ বিল-২০২১’ নামে বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উত্থাপন করলে পরে ১৫ দিনের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর জন্য অধিকতর আধুনিক প্রক্রিয়ায় ঋণ সংগ্রহ, টেকসই ঋণ নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং ঋণ কৌশলপত্র প্রস্তুত, ঋণের ঝুঁকি নিরূপণ ও সরকারের দায় হিসাবায়নের পথকে অধিকতর সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে খসড়া আইনটি আনা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অভিযোগ ছাড়া কোনো আদালত মিথ্য তথ্য সম্পর্কিত সংঘটিত অপরাধ আমলে নিতে পারবে না।
কোনো সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের সার্টিফিকেটে মেয়ারপূর্তির পর আসল ও মুনাফা দিয়ে দেওয়ার পর এ বিষয়ে সরকারের আর কোনো দায় থাকবে না।
সরকারি সিকিউরিটির ধারক কোনো প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হলে বা অবসায়ন হলে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিযুক্ত প্রশাসক সিকিউরিটির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে বিধান রাখা হয়েছে।
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার সরকারি সিকিউরিটি নিয়ম মেনে হস্তান্তর করার পর ওই ব্যক্তিকে সিকিউরিটির আসল বা সুদের বিষয়ে দায়ী করা যাবে না।
সরকার বাজেট ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে অর্থায়ন বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গৃহীত বা দেশি বা বিদেশি মুদ্রায় গৃহীত সুদ বা মুনাফা যুক্ত বা মুক্ত যে কোনো প্রকারের ঋণ ও বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে পারবে।
সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সরকার যে ঋণ নেবে তা যথাযথ গ্যারান্টি এই বিলের মাধ্যমে থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
স্বাভাবিক ডিপোজিট ব্যবস্থার পাশাপাশি শরিয়াভিত্তিক ডিপোজিট ব্যবস্থা সুকুক এই আইনের অধীনে আনা হয়েছে। এটি আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সার্কুলার দিয়ে চালু করা হয়েছিল।
বিলে বলা হয়ছে, সরকারি ঋণ আইনের মাধ্যমে কত টাকা হলো এবং এটির কী অবস্থা বা মুনাফা বা সুদ দেওয়া হলো তা জনগণকে জানানো হবে।
খসড়া আইনে সরকারি ঋণ অফিসগুলোর ভূমিকা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। শরিয়াভিত্তিক সরকারি সিকিউরিটি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধানাবলী প্রস্তাব করা হয়েছে।
সানবিডি/ এন/আই