ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর তীরে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোর জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। মৃতরা হলেন মেহেদী হাসান (২৮), রনি (২৭), শহীদ তালুকদার (৩৮), রিপন (৪০) ও আশিকুর রহমান (২১)।
বিস্ফোরণের সময় জাহাজের কামরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক সুকানি ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ জনে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন বলেন, ঝালকাঠিতে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৭ জন আমাদের এখানে এসেছিলেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫ জনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, সকাল পৌনে ৮টায় মেহেদী হাসান মারা যান। তার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বেলা সাড়ে ১১টায় মারা যান রনি। তার শরীরের ৫৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল। দুপুর ১২ টার দিকে মারা যান রিপন। তার শরীরের ৫২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বিকেল সাড়ে ৪টায় মারা যান শহীদ তালুকদার। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সর্বশেষ সন্ধ্যা পৌনে ৮টায় মারা যান আশিকুর রহমান। তার শরীরের ৬৬ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
ডা. আইউব আরও বলেন, তারা সবাই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিস্ফোরণে দগ্ধ ইমাম হোসেন এবং রুবেলকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের ২ জনের শরীরে ২ শতাংশ করে দগ্ধ হয়েছিল। ঝালকাঠির ঘটনায় আমাদের এখানে আর কেউ চিকিৎসাধীন নেই।
শুক্রবার সকালের দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোর দক্ষিণপাড়ে ‘সাগর নন্দিনী-৩’ জাহাজের ইঞ্জিন রুমে পাম্প মেশিন মেরামতের সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে ওই রুমে আগুন ধরে যায়। এতে জাহাজের ১৩ স্টাফের মধ্যে আট জন দগ্ধ হন।
সানবিডি/ এন/আই